About Us
- Pages
- About Us

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের কলমে...........
" Read again the lesson of truth, of justice, and valour!
You will be asked to do the work of taking on responsibility for the world "
("আবার পড়ুন সত্যের, ন্যায় ও বীরত্বের পাঠ! আপনাকে বিশ্বের দায়িত্ব নেওয়ার কাজ করতে বলা হবে।")
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সংঘবদ্ধ জীবন বিচ্ছিন্ন করার অধিকার তাঁদের নেই। তাঁদের দায়িত্ব সমাজের সকল মানুষের সুখে-দুঃখে, হাসি-কান্নায়, অভাব-অনটনে, বিপদ-মুসিবতে ভাগীদার হওয়া। শুধু নিজের বা নিজ পরিবারের আরাম আয়েশের দায়িত্ব কোন মানুষের কাজ নয়, বরং পশুত্বের কাজ। কেননা নিজ পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনের, প্রতিবেশী ও সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের কল্যাণ সাধন করে একটি সুশীল সমাজ গঠন করা আবশ্যিক ঈমানী কর্তব্য।
আল্লাহ বলেছেন, "তোমাদেরকে ভালোবাসা ও দয়া দিয়ে সৃষ্টি করেছেন"।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, "একে অপরকে ভালবাসতে না পারলে তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না"।
দার্শণিক এরিস্টটল বলেন, "মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সামাজিক জীব। যে লোক সামাজিক নয় সে হয় দেবতা নয়তো পশু"।
আল্লাহ বলেছেন, "মুমিনগণ একে অপরের ভাই"। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন," প্রত্যেক মুমিন পরস্পর ভাই ভাই"। আল্লাহ বলেছেন, "তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য"। ইসলাম এসেছে মানুষের কল্যাণ সাধনের জন্য। এ হচ্ছে প্রত্যেক মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক দায়িত্ব। আর প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিগতভাবে মানুষের কল্যাণ সাধনে আত্মনিয়োগ করবে। মজলুমকে সাহায্য করা, জালিমকে বাধা দেওয়া, সৎ-কাজের আদেশ করা, অসৎ কাজে নিষেধ করা। সমাজের অনাথ, এতিম, দুঃস্থ, বেকার, মজলুম, বিপদগ্রস্থ, রোগী, বৃদ্ধ, বিধবা সহ সকল শ্রেণীর মানুষের কল্যান করাই মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ বলেছেন- "এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার প্রতি জুলুম করবেনা এবং তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। যে ব্যক্তি নিজের ভাইয়ের প্রয়োজন মিটাবে আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটাবেন।” 'আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে বিপদমুক্ত করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে বিপদমুক্ত করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন।' আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহপাক তার বান্দাকে জিজ্ঞেস করবেন, হে আদম সন্তান আমি অসুস্থ ছিলাম তুমি আমাকে দেখতে যাওনি? মানুষ বলবে কিভাবে আপনাকে দেখতে যাব; আপনি তো বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, আমার উমুক বান্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল অথচ তুমি তাকে দেখতে যাওনি। যদি যেতে তাহলে আমাকে নিকটে পাইতে। আবার বলতো হে আদম সন্তান আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি খেতে দাওনি। মানুষ বলবে, হে আমার রব, আমি কিভাবে খেতে দিব। আপনি তো বিশ্ব জগতের রব। আল্লাহ বলবেন, তুমি জাননা আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল তুমি তাকে দাওনি। যদি দিতে তাহলে আজ আমায় কাছে পেয়ে যেতে। আল্লাহ আবার বলবেন, হে আদম সন্তান, আমি তোমার কাছে পানীয় চেয়েছিলাম তুমি দাওনি। মানুষ বলবে, হে আমার রব; আমি কিভাবে আপনাকে পানীয় দিব; আপনিযে বিশ্ব-জাহানের রব। তিনি বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানীয় চেয়েছিল তুমি তাকে দাওনি। শুনে নাও যদি তাকে পানি দিতে তাহলে আজ তুমি আমার নিকট তা পেয়ে যেতে।
একজন মানুষ হিসাবে আমাদের যথেষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। দেশ ও দশের জন্য, সমাজের মানুষের জন্য আপনি এ দায়িত্ব কোনভাবেই এড়িয়ে চলতে পারেন না। তাহলে হিসাবের কঠিন দিনে জবাবদিহীতা থেকে কিছুতেই রেহায় পাওয়া যাবে না। তাই নিজ নিজ শক্তি সামর্থ অনুযায়ী সমাজের সেবা করে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি হাসিল করা এবং সুশীল সমাজ গঠণ করা। এই বৃহত্তর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন অর্থ, শ্রম, সময় ও সার্বিক সহযোগিতা। আল্লাহ আমাদের কাজকে কবুল করুণ (আমিন)।